সফলতার গল্প ০১ঃ দৃড়তার প্রতীক কল্পনা
”সংসার সাগর দুঃখ তরঙ্গের খেলা
আশা তার একমাত্র ভেলা”
এই পংক্তির যথার্থ হিসাব পুসিয়ে নিয়েছেন, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি-এর প্রাগপুর শাখার বিলগাথুয়া গ্রামের কেয়া দলের দলনেত্রী মোছাঃ কল্পনা খাতুন । ২০১২ সালে সদস্য হিসাবে ভর্তি হন। প্রতি বছর সংস্থা হতে ঋণ নিয়ে তার সংসারে আয় উন্নতি করতে থাকে। হঠাৎ কভিড—১৯ এর সময় একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামী দিনমজুর সাহাবুল ইসলাম কোথাও কোন কাজের সন্ধান করতে না পেরে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়ে, একদিকে ছেলে মেয়ে অন্যদিকে অচল বৃদ্ধ মা বাবার মুখে দু বেলা দু মুঠো অন্নের সংস্থান করাটাই তার পক্ষে বড় অন্তরায় হয়ে উঠে। বিষয়টি তাকে আরও মর্মাহত করে তোলে। এমতাবস্তায় দিশেহারা সাহাবুল ও তার সহধর্মীনি কল্পনা খাতুন, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি-এর প্রাগপুর শাখার অভিমুখে যাত্রা করে এবং বিষয়টি শাখা ব্যবস্থাপককে অবহিত করে। ব্যবস্থাপক বিষয়টি অবগত হয়ে, পরিশোধিত অপেক্ষমান সদস্য কল্পনা খাতুনকে সহযোগী ঋণ এল আর এল নিতে উদ্বুদ্ধ করে এবং তাকে গরু মোটাতাজাকরনের উপর ৬০,০০০ (ষাট হাজার) টাকা ঋণ প্রদান করেন। ঋণ পেয়ে দুজনেই খুশী ছিল। ঋণের টাকা নিয়ে তারা একটি ষাড় গরু ক্রয় করে। প্রায় দেড় বৎসর যাবৎ ষাড়টিকে লালন পালন করে ঈদুল আযহায় ১৫০,০০০/— (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায় বিক্রয় করে।
কল্পনা খাতুন দীর্ঘ নিঃস্বাস ছেড়ে বলেন, যে “আশায় একমাত্র সম্বল ছিল এই ষাড়টা” আশা যদি সৎ হয়, তার সাথে যদি সৎ প্রচেষ্টা থাকে, তাহলে আশা কখনও নিরাশা হবেনা। তিনি পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে আরো সুযোগ সুবিধা পেলে তিনি একটি গরু মোটাতাজাকরনের খামার গড়ে তুলবেন।